স্বপন কুমার বর্মন,বিশ্বম্ভরপুর
বিশ্বম্ভরপুরে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতিতে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় উপজেলার হাওর বহির্ভূত জমিতে কৃষকরা ধান কাটছেন।বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ও কৃষকদের ধান কাটার ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন জোরতৎপর রয়েছে।
গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে উপজেলার নদী গুলো পানি ফুলে ভরে উঠে।
এতে গত শুক্রবার (১৩মে) উপজেলার গজারিয়া রাবার ড্যাম, মিছাখালী রাবার ড্যাম ও
ঘাঘটিয়া রাবার ড্যাম উপছিয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করে এবং সলুকাবাদ ভাদেরটেক এলাকার কিছু ঘর বাড়িতে পানি উঠে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী মোঃ সাদি উর রহিম জাদিদ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সফর উদ্দিন উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ঝুকিপূর্ণ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন।এ দিনেই
সন্ধ্যায় উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা করে হাওর বহির্ভূত জমির ধান দ্রুত কাটার ব্যবস্থা সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
এ উপজেলায় ফসল রক্ষা বাধ গুলো অক্ষত ও সুরক্ষা থাকায় গত সপ্তাহের আগেই মূল হাওরের শত ভাগ বোর ধান কাটা শেষ হয়। রয়েছে ছিল শুধু হাওর বহির্ভূত উচুঁজমির ২৯ জাতের ধান এ গুলো কাটা অব্যাহত রয়েছে এবং দ্রæত ধান কাটা হচ্ছে। এ জমি গুলোতে প্রতি বছরেই বৈশাখ মাসের শেষের দিকে ধান কাটা হয়। এ বছর
যথারীতি ধান কাটা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নয়ন মিয়া বলেন এ উপজেলায় হাওর ও হাওর বহির্ভূত মিলে মোট ১০ হাজার ৬শত হেক্টর জমিতে বোর চাষাবাদ হয়। এর মধ্যে করচার হাওর ও আঙ্গারুলী সহ হাওরে চাষাবাদ কৃত ৭ হাজার ১৩০ হেক্টর জমির শত ভাগ ধান শত সপ্তাহের আগেই কাটা শেষ হয়। হাওর বহির্ভূত জমিতেও দ্রæত ধান কাটা হচ্ছে। এ পর্যন্ত হাওর বহির্ভূত উচু জমিতে ৭৬% ধান
হয়েছে। সর্বশেষ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হাওর বহির্ভূত স্কীমের জমিতে ৮৫৭হেক্টের জমির ধান কাটার বাকি রয়েছে। তিনি বলেন আকস্মিক পানিতে ভাদেরটেক এলাকায় ২৫০ হেক্টর ধান ঝুকিতে ছিল বর্তমানে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায়
কৃষকরা ধান কাটছেন। ধান কাটার ব্যাপারে প্রশাসন সহ আমরা কৃষি বিভাগ কৃষকদেরকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছি। মুক্তিখলা গ্রামের কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন হাওরের বাধ গুলো সুরক্ষা থাকায় আমরা সময় মত হাওরের ধান কাটতে পেরেছি। এছাড়াও স্থানীয় কৃষকরা জানান গত সপ্তাহের আগেই হাওরের শত ভাগ ধান কাটা শেষ হয়।
সলুকাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী তপন বলেন আকস্মিক ভাবে পাহাড়ী ঢলের পানি আসায় করচার হাওরের উচু জমিতে ধান কাটতে আশংকা দেখা দেয়। বর্তমানে আবহাওয়া অনেকটা ভালো হওয়ায় কৃষকরা বিভিন্ন ভাবে ধানকাটছেন।তিনি বলেন আকস্মিক বন্যার পানিতে গজারিয়া রাবার ড্যাম পাশ্ববর্তী ১৫টি ঘর বাড়ি ক্ষতি হয়। সার্বিক অবস্থায় বিশ্বম্ভরপুরে হাওর বহির্ভূত ধান হুমকির মুখে থাকলেও প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টের সহযোগিতায় ধান
কাটা অব্যাহত রয়েছে এবং আশা করা যায় সম্পন্ন ধান কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন
কমেন্ট করুন